অনেকেরই সুগঠিত দেহ। কিন্তু কেন জানি হঠাৎ
করে পেটে মেদ জমতে শুরু করেছে। পোশাকের ভেতর থেকে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে
ভুঁড়ি। সে বড় বিব্রতকর অবস্থা। ভুঁড়ির জন্য কাজেকর্মেও গদাই লস্করি একটা
ভাব চলে এসেছে। পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে মেনে চলুন কিছু সাধারণ নিয়মকানুন। আর দেখুন না শরীরটাও কেমন ঝরঝরে হয়ে ওঠে।
ব্যায়াম ছাড়াই ভুঁড়ি কমানোর সবচাইতে সহজ ৮টি টিপস
১। রোজ সকালে এক গ্লাস গরম লেবুর শরবতঃ
হ্যাঁ! কিন্তু একেবারেই চিনি ছাড়া। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আর রাতে ঘুমুতে যাবার ঠিক আগে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়!
২। সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাতঃ
সাদা ভাতের বদলে বেছে নিতে পারেন লাল চালের ভাত, ব্রাউন ব্রেড, আটার
রুটি। এতে আপনার দেহে ক্যালোরি অতিরিক্ত ঢুকবে না। পেটে জমা চর্বি কমে আসবে
ধীরে ধীরে।
৩। চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই নাঃ
মিষ্টি, মিষতিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং তেলে ভাজা স্ন্যাক্স থেক
১০০ হাত দূরে থাকুন। কেননা এ জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে,
বিশেষত পেট ও উরুতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এগুলো খাওয়ার চেয়ে ফল
খান।
৪। প্রচুর পানি পান করুনঃ
প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করার ফলে এটা আপনার দেহের মেটাবলিজম বাড়ায় ও
রক্তের ক্ষতিকর উপাদান প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। মেটাবলিজম বাড়ার ফলে
দেহে চর্বি জমতে পারে না ও বাড়তি চর্বি ঝরে যায়। চেষ্টা করুন বরফ ঠান্ডা
পানি না পান করে, খানিকটা উষ্ণ পানি পান করার।
৫। রোজ তিন কোয়া রসুনঃ
রোজ সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পর পরই
পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ
করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরো বেশী সহজ করবে এটি।
৬। মসলা খানঃ
রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু
মশলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতন? রান্নার ব্যবহার করুন
দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের
মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
৭। প্রচুর ফল ও সবজিঃ
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন।
এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন।
আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই।
৮। মাংস থেকে দূরে থাকুনঃ
বিশেষত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত গরু ও খাসির মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিতে পারেন কম তেলে রান্না করা মাছ।
ব্যায়াম করার সময় নেই তো হয়েছে, তাই বলে কি ভুঁড়ি কমবে না? আজ থেকেই
মেনে চলুন উপরের নিয়মগুলো আর ফিরে পান আপনার মেদহীন সুন্দর স্বাস্থ্য।
সুস্থ থাকুন।
কিশমিশের উপকারি
কিশমিশের উপকারিতাঃ
১। দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
২। এর অলিনলিক এসিড যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
৩। মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে সহায়তা করে।
৪। নিয়মিত কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৫। শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে।
৬। এর পলিফেনোলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে টিউমার কোষ গঠন রোধ করে।
৭। এর ফিটোনারিয়েন্টে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের জন্য খুবই উপকারী।
৮। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় মজবুত করে।
৯। হজম শক্তিবৃদ্ধি করে।
১০। অনিদ্রা ও মাথাব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।
১১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘরে বসেই করুন ব্রণের মোকাবেলা
ঘরে বসেই করুন ব্রণের মোকাবেলা
১.কমলার খোসা:
কমলার খোসা শুকিয়ে বেটে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করুন ।এই পেস্ট আক্রান্ত স্থানে মেখে ২৫-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
২.ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশ ভালোমতো ফেটে নিন
।এই ফেটানো মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে
ধুয়ে নিন ।এতে থাকে হিলিং প্রোটিন যা অনেক উপকারী ব্রণের জন্য
৩. টুথপেস্ট: আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫-২০মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
৪.পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতা বেটে রসটুকু মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
৫.মধু ও দারুচিনি গুড়া: একসাথে মিশিয়ে রাতের বেলা মেখে পরের দিন হালকা গরম পানিতে সকাল বেলা মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
৬.জয়ফল ও কাঁচা দুধ :একসাথে মিশিয়ে মুখে ২ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
৭.হলুদ ও নিমপাতা: বেটে মুখে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ভাল ফল পাবেন ।
৮.গোলাপ জল ও লেবুর রস: মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
৯.লেবুর রস ও কাঁচা দুধ: মিশিয়ে লাগালে উপকার পাবেন ।
১০.গোলাপ জল ও চন্দন: মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ।
বেশী ব্রণের প্রকোপ হলে একজন ভালো ডার্মালজিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করা ভাল ।
বয়স লুকানোর ১৭ টিপস
বয়স লুকাতে চান? আপনার জন্য কিছু টিপস:
১. সপ্তাহে তিন দিন রাতে ভালো মানের মধু খান ও চেহারায় মেখে ধুয়ে ফেলুন।
২. অবশ্যই নিয়মমাফিক পানি পান করুন।
৩. অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪. পছন্দের বা বিনোদনমূলক স্থানগুলো ভ্রমণ করুন।
৫. ছলনা করবেন না। ভালোবাসায় ছলনা আপনাকে অচিরেই বুড়িয়ে দেবে।
৬. নিজের চেয়ে বয়স বেশি, এমন মানুষের সঙ্গে সময় কাটান বেশি বেশি।
৮. ইতিবাচক চিন্তা করুন। নেতিবাচক চিন্তা চেহারায় বসয়ের ছাপ ফেলে।
৯. চোয়াল খানিক এলিয়ে থাকতে দিন। মুখের ভারিক্কি ভাব দূর হয়ে যাবে।
১০. শিরদাঁড়া সোজা রেখে দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করুন।
১১. সুযোগ পেলে নাচুন।
১২. বেশি বেশি মন খুলে হাসুন।
১৩. মন থেকে ভালোবাসুন বই, গাছ, আকাশ।
১৪. সবসময় উদ্যমী ও প্রাণবন্ত থাকুন।
১৫. নিয়ম করে ঘুমান।
১৬. বৃক্ষজাত খাবার বেশি খান।
১৭. মুটিয়ে যাবেন না কখনই। মুটিয়ে যাওয়া মানেই নিজেকে বয়সী করে তোলা।
এক গ্লাস পানি
টিপসঃ এক গ্লাস পানি
১. এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার
সাথে সাথে যদি আপনি পান
করেন, তবে শরীরের সমস্তঅঙ্গ-
প্রত্যঙ্গ সক্রিয় হয়ে যায়।
২. এক গ্লাস পানি যদি আপনি খাবার খাওয়ার
আধা ঘণ্টা আগে পান করেন
তবে এটা খাবার হজমে সাহায্য
করবে বেশি।
৩. এক গ্লাস পানি গোসলের আগ
মুহূর্তে আপনি পান
করলে এটা আপনাকে উচ্চ রক্ত
চাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য
করবে।
৪. এক গ্লাস পানি ঘুমাতে যাওয়ার আগ
মুহূর্তে যদি পান করেন
তবে আপনাকে হৃদরোগ
এবং হার্ট অ্যাটাক.
ধন্যবাদ……
রূপ চর্চার ৬ টি চরম ইজি টিপস:
১.কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঠোটে ঘষুন ,কালো
তো উঠবেইসাথে ঠোটে গোলাপী ভাব
আসবে ।
২.কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে লেবুরখোসায়
চিনি দিয়ে ভালো করে ঘষুন।চলে যাবে ।
৩.ব্রনের উপর রসুনের কোঁয়া ঘষে নিন ,
তাড়াতাড়ি মিলিয়ে যাবে ।গ্যারান্টি ।
৪.পেডিকিউর মেনিকিউর আপনার
কাছে ঝামেলা লাগে ? আরে আমি আছি না ?
আজ থেকে যখনই আপেল খাবেন
তখনই আপেলের খোসাটা হাত পায়ে ঢলে নিন।
ফর্সা হবে পরিস্কার হবে
৫.পায়ের গোড়ালী ফাটলে ,পেয়াজ বেটে প্রলেপ দিন ।ক্রীম
কিংবা স্ক্রাব এর ঝামেলায় যেতে হবেনা ।
৬.প্রতিদিন টুথপেষ্ট দিয়ে দাত মাজেন কুলি করেন
তবুও মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ? ব্যাপার না ,নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ
থেকে মুক্তি পেতে টানা দুইমাস নিয়মিত দুই কোঁয়া করে কমলালেবু খান
দাগহীন দাঁত
দাঁত ব্রাশ করার সময় পেস্টের সাথে কয়েকদানা
লবণ ছিটিয়ে দিন। এভাবে দিনে দু’বার ব্রাশ করুন। লবণের দানা স্ক্রাবার
হিসেবে কাজ করে। এছাড়া প্রতিবার ব্রাশের পরে তেজপাতা দিয়ে দাঁতের উপরে
ঘসলে দাঁতের দাগ দূর হয়
দৈনন্দিন জীবনের নানা দিক
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবু:
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবু:
১. একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং ত্বককে আরো ফর্সা করবে।
২. ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সাথে সাথে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সেক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৩. একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সাথে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।
৪. একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৫. হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ চালের গুড়ো মিশিয়ে ভালভাবে হাত পায়ে লাগান।
চুল পড়া বন্ধ করুন:
চুল পড়া বন্ধ করুন
আজকালকার দূষন যুক্ত
পরিবেশে অনেক মানুষেরই কম
বয়েসে চুল পড়ে যায়৷ এই
সমস্যা কাটাবার জন্যে নিম
পাতা ও মেথী দানাকে ভালো করে সেদ্ধ
করে নিন এবং সেই
রসকে মাথার চুলে উপরে লাগান, তারপর
ভালো করে শ্যাম্পু
করে নিলে আপনার চুল পড়ার হার
আস্তে আস্তে কমে যাবে ৷
শরীরের মেদ কমাতে আপেল খুবই উপকারী একটি ফল:
প্রতিদিন একটি আপেল খেলে মেদ কমানোর জন্য চিকিৎসকের কাছে
ছুটতে হয় না। মুক্তি মেলে স্থুলতা-সংক্রান্ত রোগ থেকেও। শরীরের মেদ কমাতে আপেল খুবই উপকারী একটি ফল। খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন একটি আপেল থাকলে মেদ কমানোর জন্য চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হয় না। স্থুলতা-সংক্রান্ত রোগ থেকেও সহজে মুক্তি মেলে। আপেল নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণার ভিত্তিতে এমনটাই দাবি
করেছেন খাদ্যবিজ্ঞানীরা।
সবুজ আপেলের পুষ্টিগুণ বেশি:
ওয়াশিংটনের স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বিশ্বের বিভিন্ন
প্রজাতির আপেল নিয়ে এই
গবেষণা করেন। গবেষক দলের প্রধান খাদ্যবিজ্ঞানী
গিলিয়ানা নরেটো বলেন,
‘আপেলের মধ্যে এমন কিছু যৌগ রয়েছে, যা হজম হয় না। যৌগগুলো মানুষের মলাশয়ে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। আর ওইসব ব্যাকটেরিয়া
মানুষকে স্থুলতা-সংক্রান্ত রোগ থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন ধরনের আপেলের মধ্যে সবুজ রঙের আপেলে এসব যৌগের উপস্থিতি বেশি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এই গবেষণা ভোক্তাদেরকে শরীরের প্রয়োজন
অনুযায়ী আপেল বাছাই করতে
সাহায্য করবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আপেলে ফাইবার পলিফেনোলস ও কম মাত্রার শর্করা নিয়ে এমন একটি যৌগ তৈরি হয়- যা হজমযোগ্য নয়। চিবিয়ে খাওয়ার কারণে হজমের জন্য যে এনজাইম ও এসিড নির্গত হয়, তা অব্যবহৃত থাকে। এই অব্যবহৃত এনজাইম ও এসিড মলাশয়ে গিয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারে সহায়তা করে। এই ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের এমন কিছু ক্ষতিকর উপাদান ও পদার্থকে অপসারণ করে- যা শরীরকে করে মেদবহুল।
গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি ফুড কেমিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত হয়।
ত্বকের ট্যান দূর হবে
সপ্তাহে এক দিন এ উপটান ব্যবহারে ত্বকের
ট্যান দূর হবে অনেক টাই, আর যাদের ট্যান বা এ ধরনের সমস্যা নেই তারা
খেয়াল করলে দেখবেন প্যাকটি ব্যবহারের পর আপনার ত্বকের ফর্সা ভাব।
এ প্যাকটি তৈরি
করতে লাগবে-
>২ টেবিল চামচ বেসন
>১ টেবিল চামচ গমের আটা
>১/২ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া
>১ টেবিল চামচ চন্দন/মুলতানি মাটি/তুলসি গুঁড়া
>১ চা চামচ করে
লেবু,
শশা ও গোল আলুর রস
>২ টেবিল চামচ
টকদই
>১ টেবিল চামচ
মধু
সব গুলো উপাদান (পরিমাণমত) একটি বাটিতে
নিয়ে ২-৩ মিনিট ধরে ভালো করে মেশান। তারপর
মুখে মেখে
২০-২৫ মিনিট বা শুকাতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ রাখুন। এরপর প্রথমে
কুসুম গরম ও
পরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন।
যদি আপনার ত্বক শুষ্ক থাকে, ত্বক কে উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী করতে চান, তাহলে কাঁচা হলুদ বাটা
মিনারেলস:
ভিটামিন:
প্রোটিন:
প্রাকৃতিক উপায়ে সহজ পন্থায় আপনি ঘরে বসেই তৈরি স্কিন
টোনার
একটি শশা কুচি করে কেটে তার সাথে ১/২ কাপ টক দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তা মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে
ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফ্রিজে
রেখে আপনি ২-৩দিন ব্যবহার করতে পারেন।
ফর্সা ভাব
পেতে পারেন। পার্লারে না গিয়েও বাড়িতে বসেই হাতের কাছের
কিছু উপকরণ দিয়ে চেহারায় নিয়ে আসতে পারেন তাৎক্ষনিক ফর্সাভাব।
উপকরণ :
- চালের গুঁড়া মুখের স্ক্রাব হিসেবে
অনেক ভালো কাজ করে। এক কাপ চায়ের পানি ঠাণ্ডা করে নিন।
এবার এর
সাথে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মাস্ক এরমত
করে
মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর হাত দিয়ে সার্কুলার
ভাবে ম্যাসাজ করে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে
ইন্সট্যান্ট ত্বকে ফর্সাভাব আসবে।
-২ টেবিল চামচ আটা, আধা চামচ
হলুদ, ১ টেবিল
চামচ লেবুর রস এবং একটু দুধ একসাথে ভালো
ভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটাকে
৫ মিনিট মুখে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ২০ মিনিট
শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা
কেটে গিয়ে মুখ
উজ্জ্বল দেখাবে।
ত্বক টান টান করতে
১টি
ডিমের সাদা অংশ,২ টেবিল চামচ দই,
২ চা-চামচমুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চা-চামচ মধু ও সামান্য
বেকিং সোডা মিশিয়ে পিঠে মেখে রাখুন 20Min
শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ
যদি আপনার ত্বক শুষ্ক থাকে, ত্বক কে উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী করতে চান, তাহলে কাঁচা হলুদ বাটা
সামান্য, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপজল
মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের পজিটিভ
পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে
যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন।
মধু, কাঁচা হলুদ, দুধ ও তিলের
তেল চুলায় অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে
লম্বা হতে চান?
লম্বা হতে চাই... লম্বা হতে চাই... ছেলে বা মেয়ে সবার মনের বাসনা একই। যারা বেশ
ভালো লম্বা তাদেরও মনে হয় আরও ১-২ ইঞ্চি লম্বা হতে পারলে বেশ ভাল মানাত! আসলে আমরা কতটুকু লম্বা হবো তা আমাদের বংশগতি থেকেই নির্ধারিত হয়। তবে একথাও ঠিক আমাদের পূর্বপুরুষেরা লম্বা হলেও আমরা যদি অপুষ্টিতে ভূগি তবে আমাদের বৃদ্ধি ঠিকমত হবে না। আর মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২৫ বছর বয়স পর্যন্তই। তাই কিশোরকাল থেকেই এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনটি জিনিসের সমন্বয় লম্বা হতে সাহায্য করবে-
১.পুষ্টিকর খাবার
২.নিয়মিত ব্যায়াম
৩.পর্যাপ্ত বিশ্রাম
কী কী থাকতে হবে খাবার তালিকায়
মিনারেলস:
পর্যাপ্ত পরিমান বিভিন্ন রকমের মিনারেল আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে হবে। আমাদের দেহে প্রতিটি কাজে মিনারেলের ভূমিকা রয়েছে। হাড়ের গঠন ও
বৃদ্ধিত মিনারেল একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। বিষেশভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেনপরিমাণ মত গ্রহণ করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ, খেজুর, বাধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, পালং শাক, পুই শাক ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াসম আছে। দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মাংস, এমনকি সবজিতেও ফসফরাস রয়েছে। আয়রন পাওয়া যায় খেজুর, ডিমের কুসম, কলিজা, গরুর মাংসে। ম্যাগনেসিয়াম আছে আপেল, জাম্বুরা, ডুমুর, লেবু ইত্যাদিতে। জিন্ক পাওয়া যায় ডিম, সূর্যমূখীর বীচিতে।
ভিটামিন:
আমাদের প্রয়োজনীয় সব রকমের ভিটামিনই বিভিন্ন ধরনের শাক- সবজি ও ফল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু খাবারের ভিটামিন দেহে কতটুকু গৃহিত হচ্ছে তা বোঝা বেশ কঠিন। তাই বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভিটামিন-বি১ আছে চীনা বাদাম, লাল চাল,গমে। ভিটামিন-বি২ আছে মাছ, ডিম, দুধে। ভিটামিন-বি৬ রয়েছে বাধাকপি, কলিজা,
গরুর মাংসে। ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত
খবার থেকে। ভিটামিন-ই আছে ডিম, সয়াবিন, গমে। ভিটামিন-এ আছে ডিমের কুসুম, গাজর, দুধ ও কলিজায়।
প্রোটিন:
হাড়ের বৃদ্ধির সাথে সাথে মাংসপেশীরও বৃদ্ধি পেতে হবে লম্বা হওয়ার জন্য। আর মাংস
পেশির বৃদ্ধি ও মজবুত হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। খাবার তালিকায় ভাল মানেপ্রোটিন
যেমন- মাছ, মাংস, ডিম রাখুন। বিভিন্ন রকমের ডাল, মটরশুটি, সীমের বীচি, কাঠালের বীচি
ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। খাবার তালিকায় সয়া প্রোটিন, বিভিন্ন রকমের
প্রোটিন সেইক যোগ করতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট:
অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট
লম্বা হওয়াকে বাধাগ্রস্থ
করে। কারণ অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ মানে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ। এরফলে ইনসুলিন নামক হরমোনও নিঃসৃত হবে বেশি। ইনসুলিন দেহের গ্রোথ হরমনের কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়। তাই খাবার তালিকায় লাল আটা, লাল চাল, ওট ইত্যাদি রাখুন ময়দা, সাদা আটা, পলিশ চালের পরিবর্তে।
পানি:
পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে, কম হলেও ২ লিটার প্রতিদিন। যেসব কারণে লম্বা হওয়া বাধাপায় ঘুমের অভাব- দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস তৈরি করুন। খেলা-ধূলা না করা- বাস্কেটবল, ভলিবল খেলার অভ্যাস গড়েতুলুন দড়ি লাফের মতো সাধারণ ব্যায়াম শুরু করুন অপুষ্টি-পুষ্টিকর ও সুষম খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন দেহের কোনো অংশে অসঙ্গতি
থাকলে ফিজিওথেরাপিষ্টের
সাহায্য নিতে হবে ত্যাগ করতে হবে মদ্যপান ও ধূমপানসহ সব ধরণের মাদকের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ এগুলো দেহের হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট করে।
0 comments:
Post a Comment